মেঘনা বিধৌত রায়পুর উপজেলা ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলের সাধারন মানুষের উচ্চ শিক্ষা লাভের পথ সুগম ও প্রশস্ত কারার উদ্দেশ্যে এলাকার বিদ্যোৎসাহী ও দানশীল ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭০ সালে “রায়পুর কলেজ”প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত খোলা হলেও পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৮২ সালে এ কলেজে ডিগ্রি (পাস) কোর্স খোলা হয়। ১৯৮৭ সালে “রায়পুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ” সরকারিকরণ করা হয়।
রায়পুর উপজেলার সদর হতে ১কি.মি দূরে রায়পুর-পানপাড়া সড়কের পাশে নাগরিক কোলাহল মুক্ত প্রকৃতির অনাবিল সবুজ-ছায়াঘেরা এক শান্ত ও রম্য পরিবেশে এ কলেজের অবস্থান। রায়পুর জমিদারদের (মিয়া বাড়ী) দানকৃত চারপাশে লেক বেষ্টিত প্রায় ১৪ (চৌদ্দ) একর ভূমিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও সুবিশাল খেলার মাঠ।
একজন বিশিষ্ট্য দানবীর ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অত্র এলাকায় বহু মসজিদ, মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে নগদ অর্থ ও জমিজামা দিয়ে সাহায্য করেন। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল একটা যুগোপযোগী, মানসম্মত ও আধুনিক কলেজে তাদের সন্তানদের পড়া লেখা করানো। সে আকাঙ্খা হৃদয়ে ধারণ করে রায়পুরে সিংহ পুরুষ মহৎ হৃদয়ের অধিকারী মরহুম মৌঃ আলী আহম্মদ চৌধুরী এই কলেজের জন্য ৬.৭৭ কবলা আর ৬.৭৭ দানপত্র দলিলের মাধ্যেমে জায়গা প্রদান করেন। সেই স্থানে অত্র কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অত্র এলাকার গণ্য মান্য লোকজন প্রাথমিক ভাবে নির্মান সামগ্রী দিয়ে কলেজ নির্মাণে সহায়তা করেন। ১৯৭০ সাল হতে একাদশ শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৮০ সাল হতে স্নাতক পর্যায়ের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। কলেজটির গুরুত্ব উপলব্দী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২৮/০৩/১৯৮৭ খ্রিঃ তারিখে জাতীয়করন করেন।